বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১০:৪৮ অপরাহ্ন
শুধু তাই নয়, প্রতিটা পরিবহণ থেকে পার্কিং চার্জ ও গাড়িতে যাত্রী উঠানোর নামে চালকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত দেড় হাজার টাকা করে নেওয়া হচ্ছে।
প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় জসিম উদ্দিন ও সুমন খানসহ আরও কয়েকজন এই অবৈধ টাকা উত্তোলন করছেন বলে ভুক্তভোগী পরিবহণ চালকরা অভিযোগ করেছেন।
তিন দিনের ছুটি শেষে রোববার দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ রাজধানী ঢাকাসহ আশপাশের বিভিন্ন স্থানে কর্মস্থলে ফিরতে পাটুরিয়া ফেরিঘাটে ভিড় করেন।
অতিরিক্ত যাত্রী থাকার সুযোগে বাসচালক ও মালিকরা নির্ধারিতের চেয়ে এই অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছেন। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন, বাসচালক ও সহকারীরাই বেশি ভাড়া নিয়েছেন।
ট্রাফিক পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রোববার পাটুরিয়াঘাট এলাকায় কয়েকটি বাসচালক ও মালিক যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নেন। অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগে কয়েকজন চালককে আটক করা হয়। অতিরিক্ত ভাড়া না নেওয়ার শর্তে পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
রোববার বিকালে পাটুরিয়াঘাটে গিয়ে দেখা যায়, দৌলতদিয়াঘাট থেকে লঞ্চ ও ফেরিতে হাজারও যাত্রী পাটুরিয়াঘাটে আসছেন। সেখান থেকে বাসে ওঠার জন্য চালক ও সহকারীদের সঙ্গে ভাড়া ঠিক করছেন। পাটুরিয়া থেকে ঢাকার গাবতলী পর্যন্ত সরকার নির্ধারিত ১০০ টাকার জায়গায় ২০০ টাকা ভাড়া ডেকে নিয়ে বাসে যাত্রী তুলছেন চালকের সহকারীরা।
তবে ট্রাফিক পুলিশ বাসের কাছে গেলে সহকারীরা সরে গিয়ে গোপনে অতিরিক্ত ভাড়া চূড়ান্ত করে যাত্রীদের বাসে তুলছেন। এভাবে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হয়।
বিআরটিসির বাস ছাড়াও স্থানীয় সেলফি, নিলাচল, দ্রুতগতি পদ্মা লাইন, যাত্রীসেবা, শুভযাত্রাসহ বিভিন্ন পরিবহনের বাস পাটুরিয়া থেকে ঢাকায় যাত্রী বহন করছে। বিআরটিসি বাসেও ভাড়া বেশি নেওয়ায় সন্ধ্যায় এক চালককে আটক করা হয়।
ঘাটসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সাপ্তাহিক সরকারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ছুটিসহ তিন দিনের ছুটিতে অসংখ্য মানুষ গ্রামের বাড়িতে যান। ছুটি শেষে ঢাকা ও এর আশপাশে বিভিন্ন এলাকায় কর্মস্থলে যেতে রোববার দুপুরের পর থেকে দৌলতদিয়া থেকে লঞ্চ ও ফেরিতে করে পাটুরিয়াঘাটে আসেন। সেখানে যাত্রীর চাপ বেড়ে গেলে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হয়।
চুয়াডাঙ্গা থেকে আসা ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন আব্দুল কাদের। তিনি জানালেন স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে কর্মস্থলে ফিরতে পাটুরিয়া থেকে সেলফি পরিবহণের একটি বাসে ওঠেন।
ভাড়ার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের তিনজনের ভাড়া ৬০০ টাকা গুনতে হয়েছে।
পাটুরিয়াঘাটে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক জাসেল আহমেদ বলেন, অতিরিক্ত ভাড়া যাতে কেউ না নিতে পারেন, সে জন্য বাসচালক ও সহকারীদের সতর্ক করা হয়েছে। এর পরও কোনো কোনো বাসচালক ও সহকারী যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার চেষ্টা করেছেন।